নিজস্ব প্রতিবেদক :: কাউখালীতে ব্যবসায়ীকে হাত-পা মুখ বেঁধে কুপিয়ে রক্তাক্ত, অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কাউখালীতে চাঁদার দাবিতে এক ব্যবসায়ীকে হাত পা মুখ বেঁধে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে কুপিয়ে দু হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার রাত দুটার দিকে পিরোজপুর জেলার সদর নামাজপূড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যবসায়ী নাম পারভেজ মহাজন,সে কাউখালী থানাধীন দাসের কাঠি গ্রামের ফোরকান মহাজনের ছেলে।
বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতের বাবা ফোরকান জানান,, আমার ছেলে পারভেজ একজন ব্যবসায়ী, প্রায় সময় পারভেজের কাছে কাউখালীর সাগর শিকদার, পিরিজপুরের প্রিন্স, জিসান ফকির আবির সহ অজ্ঞাতনামারা মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে, দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ঘটনার দিন সোমবার রাত দশটার দিকে পারভেজকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে উঠায় সাগর শিকদারসহ অন্যান্য সহযোগী চাঁদাবাজরা। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলের উপরে উঠে পারভেজের মাথায় আঘাত করলে পারভেজ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় তাকে তুলে নিয়ে যায় পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামে। সেখানে প্রায় আট ঘন্টা ব্যাপী বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়। পারভেজ কে হাত পা মুখ বেঁধে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে দু,হাত ভেঙে দেয় সাগর শিকদার সহ অন্যান্য সহযোগীরা। এমনকি তার বাম হাতের কব্জির রক্তন করে।
ফোরকান মহাজন আরো জানান, ঘটনার
পরের দিন অজ্ঞাত নাম্বার থেকে আমাদের কাছে একটি ফোন আসে, সেখানে আমার ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ১০ হাজার টাকার মুক্তিপণ দাবি করে প্রিন্স সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে ১০ টাকা মুক্তি ফোন দিয়ে পারভেজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
বর্তমানে পারভেজ গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগে চিকিৎসা রয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।