ক্রিয়া ডেস্ক :: কেউ না থাকলেও আমরা ক্রিকেটারদের পাশে আছি: পাপন
ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে প্রথম ম্যাচটিতে জয় পেলেও টানা পাঁচটিতে হেরে আলোচনা-সমালোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সবশেষ নিজেদের চেয়ে সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশা শেষ করেছে সাকিবরা।নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ’ স্বীকার করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এমন অবস্থায় চারদিক থেকে সমালোচিত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে এই এমন দুঃসময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) পাশে পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, দল একটানা হারছে। এমন সময়ে কেউ ক্রিকেটারদের পাশে থাকবে না। তবে কেউ না থাকলেও আমরা তাদের পাশে আছি।
তিনি বলেন, যেটা হয়ে গেছে আমাদের কিছুই করার নেই আমাদের সামনে তিনটি ম্যাচ আছে। এই তিন ম্যাচে আমরা কীভাবে ভালো খেলতে পারি এটা ছাড়া করার কিছু নেই। এটা করতে হলে দুটো জিনিস করতে হবে। ওদের মধ্যে সাহস যোগাতে হবে, বিশ্বাস যোগাতে হবে। যেন ওরা পারে। এই বিশ্বাস আর সাহস যদি ওদের নিজেদের মধ্যে না আসে, তাহলে ওরা সবসময় কনফিউজ থাকবে। শট সিলেকশানে ভুল করবে। মারতে গেলে এমন হতেই পারে। এটাই করার চেষ্টা করেছি।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ওরা সকলে মিলে বলল যে, তারা সবাই ইউনাইটেড। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ওরা জিততে পারছে না, এটা চিন্তা করে ওদের আরও বেশি খারাপ লাগছে। কারণ ওরাই তো সুপারস্টার আমাদের। ছিল সবসময়। এটা তো একদিন দুইদিনের না। বছরের ওর বছর। এরা রান পাচ্ছে না, এটাই এরা মেনে নিতে পারছে না। এটাই বললাম ওদের, যে মানুষ এখন খারাপ বলবে, অবশ্যই বলবে। না বলার কোনো কারণ নেই। মানুষ ক্রিকেটকে ভালোবাসে বলেই তো এই ধরনের খেলা খেললে বা হারলে কথা বলবে।’
তিনি বলেন, মানুষ বোর্ডকে বলবে, কোচিং স্টাফকে বলবে, প্লেয়ারদের বলবে। এটা স্বাভাবিক, এটা নিয়ে বলা উচিত না- এমন কিছু না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যেহেতু সিরিজ চলছে, টুর্নামেন্ট চলছে, আরও তিনটা ম্যাচ বাকি। আবার এই ম্যাচগুলোতে আহামরি কিছু করতে পারব সেটাও না। তবে আমরা সক্ষম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এখনও সম্ভব। হারা জিতা বড় কথা না, ভালো ক্রিকেট খেলাটা আসল।
পাপন বলেন, আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। আমি ওদের এটাই বলেছি, দে শুড ফাইট ব্যাক। ওরা কি চায় বলুক, যখন যা চায় আমরা আছি। ওরা কথা দিয়েছে ওরা বসবে। এটাও বলেছে চাওয়ার কিছু নাই। আমি কথা বলে মনে হয়েছে ওরা এখন অনেক বেশি সিরিয়াস। এটা নিয়ে চিন্তা করছে কীভাবে আরও ভালো করা যায়। আশা করা ছাড়া উপায় নাই। আমি বলেছি। খারাপ সময়ে মানুষ অনেক কিছু বলবে। কারণ ভালো সময়ে মানুষ মাথায় নিয়ে নাচে। তাহলে খারাপ সময়ে বলবে না কেন। কিন্তু এই খারাপ সময়ে কেউ না থাকলেও আমরা আছি।