ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ ২০২৪

২ সিটি ও ৬ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ মধ্যরাতে

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মার্চ ৭, ২০২৪ ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: ২ সিটি ও ৬ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ মধ্যরাতে

আসন্ন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মধ্যরাত ১২টায়। এরপর আর কোনো প্রার্থী কোনো ধরনের প্রচার বা মিছিল করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, স্থানীয় নির্বাচনের প্রচার বন্ধ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মধ্যরাত ১২টায় প্রচার বন্ধ করতে হবে। এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন এবং তিনটি পৌরসভার (পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী পৌরসভা, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা এবং বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচনসহ তিনটি পৌরসভার (ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদ) মেয়রের শূন্য পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও স্থানীয় সরকারে বিভিন্ন উপ-নির্বাচন নিয়ে ৯ মার্চ মোট ২৩৩ টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। ময়মনসিংহ সিটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত থাকছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে থাকছে র‌্যাবের ১৭টি টিম ও বিজিবি থাকবে ৭ প্লাটুন।

এ সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২টি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র্যাবের ২৭টি টিম ও বিজিবি ১২ প্লাটুন। এ সিটি নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী-তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মত নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দু’জন।

দুই সিটি নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ কেন্দ্রে আইন-শঙ্খলা বাহিনীগুলোর ১৬ জনের ফোর্স ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকছে। এদিকে পৌরসভাগুলোতে ১২ থেকে ১৪ জনের ও ইউপির নির্বাচনগুলোতে ২২ জনের ফোর্স নিয়োজিত করেছে ইসি। নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো আছে। তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।