ঢাকারবিবার , ৫ মে ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়া, স্ত্রী-কন্যার হাতে বৃদ্ধ খুন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ৫, ২০২৪ ৯:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়া, স্ত্রী-কন্যার হাতে বৃদ্ধ খুন

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধ তারু মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে সদর থানা পুলিশ। শ্যালিকার সঙ্গে ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের’ জেরে স্ত্রী-কন্যার হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ওই ব্যক্তি। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী, মেয়ে ও ভাড়াটিয়া খুনি।

পুলিশ জানায়, গত ২৪ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বৃদ্ধ তারু মিয়া। এরপর তিনি নিখোঁজ হন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন মেয়ে তানজিনা তার বাবা নিখোঁজ মর্মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় এসে মৌখিকভাবে পুলিশকে অবগত করেন। ঘটনার তিন দিনের মাথায় ২৭ এপ্রিল তারু মিয়ার বাড়ির পাশের বড়হাটি গ্রামের ডোবা থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল নিহতের ছেলে জুবাইদ মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু ।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, মামলার তদন্তকালে তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারের অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে মোবাইল কললিস্ট চেক করে পুলিশ নিশ্চিত হয় এই হত্যাকাণ্ডে মেয়ে জড়িত। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন তানজিনা।জবানবন্দিতে তানজিনা পুলিশকে জানায়, খালার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তার বাবার। এটা সে এবং তার মা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। এই নিয়ে পরিবারে বিবাদ লেগেই থাকতো। এরপরই বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করা হয় তাকে। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর ভাড়াটিয়া খুনি সুমনসহ আরও তিন জনের সহায়তায় তার মরদেহ বাড়ির পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন।

ইন্সপেক্টর তদন্ত সুমন বণিক আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত মা হাদিসা বেগম এবং ভাড়াটিয়া খুনি সুমন মিয়াসহ বেশ কয়েকজনের নাম পুলিশকে জানায় তানজিনা। পুলিশ হাদিসা বেগম ও সুমনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার (৪ মে) হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও ৩ জনকে গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।