ঢাকামঙ্গলবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজে একই পরিবারের ১৫ জনের চাকরি-জনমন ক্ষোভ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪ ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বিশেষ প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির নলছিটিতে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে  আওয়ামী লীগের সাথে দোস্তী করে বিএনপি নেতার পরিবারভুক্ত ১৫ জন নারী-পুরুষ বিধিবহির্ভূত চাকুরী গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দপদপিয়া ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদলের প্রতিষ্ঠিত কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে।

 

অভিযোগ সূত্রে ও অনুসন্ধান করে জানা গেছে, দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক মো: রিমন আকন আওয়ামী লীগের সাথে দোস্তী করে বিগত দিনে রাজনীতি করার পাশাপাশি তার পরিবারভুক্ত ১৫ জন নারী-পুরুষকে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে চাকুরী প্রদান করেছে। এর মধ্যে রিমন আকনের আপন ভাই মরহুম সুমন আকনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে অফিস সহকারী পদে, দুই চাচা আবু সাইদ রুবেল আকনকে কারিগরি শাখার প্রভাষক ও তারই আপন ভাই মো: মেজবাহ উদ্দিন দুলাল আকনকে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে, আপন চাচাতো ভাই মহিউদ্দিন আকনের পুত্র মো: সাদ্দাম হোসেনকে অফিস সহকারী পদে, আপন চাচাতো দুই ভাই তামিম আকনকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ও তানজিল আকনকে অস্থায়ী এমএলএসএস(এমপিওভুক্ত হয়নি) পদে, তারই বংশের চাচা ফরিদ উদ্দিন আকনকে এমএলএসএস পদে, চাচাতো বোন ইসরাত জাহান রনিকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে, বিএনপি নেতা রিমন আকনের বাসার কাজের বুয়া পারভীন আক্তার পরিকে এমএলএসএস পদে, তারই চাচা মহিউদ্দিন আকনের শ্বশুর বাড়ির আত্নীয় নাসির উদ্দীনকে এমএলএসএস পদে, বংশের চাচা মোস্তফা আকন ও কাজেম আলী আকনকে এমএলএসএস পদে, তারই চাচা মহিউদ্দিন আকনের ভাগিনার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিজাকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে, এবাং বংশের চাচা আলম আকনকে এমএলএসএস পদে, এছাড়াও এই গ্রুপের আরো বহু লোক রয়েছে বলে অভিযোগ আছে তদন্ত করে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওই কলেজে ঘুরে-ফিরে বিএনপি নেতা রিমন আকনের আত্নীয় স্বজনরা আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজো করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং বিধিবহির্ভূত নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলে।

 

এছাড়াও ওই কলেজের ভবনে বিএনপির এই নেতার ভাই মরহুম সুমন আকন ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি কিন্ডারগার্টেন চালু করে। যা নিয়ে তৎকালীন সময়ে পত্রিকায় ও মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হলেও আওয়ামী লীগের সাথে দোস্তীর কারনে কোন ফল হয়নি। বরং কলেজের ভবনে কিন্ডারগার্টেন চালু ছিল।

 

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদল ১৯৯৫ সনে নিজ উদ্যোগে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ইমরানা পারভীন এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে জানিয়েছেন যে, তিনি ছয় মাস আগে এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। তার যোগদানের পূর্বের বিষয় হতে পারে উল্লেখ করে বলেন, একই পরিবারভুক্ত কি না তা তিনি জানেন না, তবে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।

 

একই পরিবারভুক্ত ১৫ নারী-পুরুষের ওই কলেজে চাকুরীর ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল আজিম বলেছেন, তৎকালীন কলেজ কমিটি কিভাবে ওই নিয়োগ দিয়েছে তা আমাদের জানা নেই। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে ওই কলেজের বর্তমান সভাপতি নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম একই পরিবারভুক্ত ১৫ নারী-পুরুষের একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরেই দবদপিয়া ইউনিয়ন এবং নলছিটিতে মানুষের মধ্যে খুব উত্তেজনা বিরাজ করছে। চলছে চায়ের দোকানে আলোচনা, মানুষ যেখানে বাংশে/পরিবারে ১ টা চাকরি পাচ্ছে না সেখানে কিভাবে একই বাংশে/পরিবারে ১৫ জনকে চাকরি।

 

উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে একাধিক পুলিশের উপর হামলা ও মোটরসাইকেল চুরির মামলা সহ একাধিক মামলা ছিলো। কিছু মামলা এখনো চলমান আছে। আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেখতে চোখ রাখুন………