ঢাকামঙ্গলবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাগরদিতে যুবলীগের দাবীকৃত চাঁদা উত্তোলনে মরিয়া সাঙ্গপাঙ্গরা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪ ১০:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার :: দাবীকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নগরীর দক্ষিণ সাগরদীর দরগাবাড়ি রোড সংলগ্ন ঈসা খাঁ সড়ক এলাকার একটি বসতঘরের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। চলমান বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনটি করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ গোলাম মোস্তফা। অভিযোগের বিষয় হল- বিগত সরকারের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ কর্তৃক অবরুদ্ধ করে রাখা বসতঘরের সামনে পাকা দেয়াল অপসারণ প্রসঙ্গে। এ আবেদন করার পর ওই বসতঘরে হেঁটে আসা-যাওয়ার একমাত্র সরু পথটিও বন্ধ করে দিয়েছে চাঁদাবাজদের সাঙ্গপাঙ্গরা। সরেজমিনে দেখা যায়, আবেদনকারী গোলাম মোস্তফার বসতঘর চারদিক থেকে অবরুদ্ধ। কোন দিক থেকে আসা-যাবার পথ নেই। এক এক সময় এক এক দিকের দেয়াল ডিঙিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। কবির আহম্মেদ বলেন, আ.লীগ শাসণামলে যুবলীগ পরিচয়ে ৫/৬ জন দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ওই পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আ.লীগ সরকারের সময় অনেক নিপীড়িত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ওই পরিবারটি। গত ৫ আগষ্ট আ.লীগ সরকারের পতনের পর এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ওই সব চাঁদাবাজরা। কিন্তু তাদের ছত্রছায়ায় দাবিকৃত চাঁদার দাবিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্থানীয় মাসুদ, মামুন ও মন্নান। বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করার পর শেষ পর্যন্ত হেঁটে চলার সরু পথটিও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন ও যুবলীগ নেতার পরিচয়ে ৫/৬ জন আবেদনকারীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরদিন অর্থাৎ ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর হঠাৎ রাত আনুমানিক ২ টার সময় বসতঘরের সামনে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে পরিবারের সকলকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। যে কারণে আবেদকারীর বৃদ্ধা মা অসুস্থ হলেও ডাক্তার পর্যন্ত বসতঘরে প্রবেশ করতে পারে না। বসতঘরে রোগীর চিকিৎসা পর্যন্ত করানো যায়নি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আবেদনকারী ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর এবং ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের (নং-৮৮৮) করেন। চাঁদাবাজরা এলাকায় যুবলীগের নেতা হওয়ার কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বলেও কোন প্রতিকার পায়নি।