
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহাঃ তাশেম উদ্দিন হলেন বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের একজন সক্রিয় দোসর।বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তিনি অত্র উপজেলায় যোগদানের পর হতে তৎকালীন এমপি জ্যাকবের একান্ত আপনজন হিসেবে কাজ করেছেন। তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আখনের অফিসিয়াল সকল চাঁদা আদায় করে দিতেন। তিনি সর্বশেষ পাতানো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডে প্রিজাইডিং অফিসার হয়ে ভোটার শূন্য উপস্থিতিতে ব্যাপক ভোট পড়েছে দেখিয়ে নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। উপজেলা নির্বাচনের সময়ও জয়নাল আখন এর পক্ষে একই কাজ তিনি করেন। তার সাথে ছিল তৎকালীন ফ্যাসিবাদী নেতৃবৃন্দের ব্যাপক সখ্যতা। আওয়ামী পন্থী শিক্ষক নেতাদের সাথে তিনি সাধারণ শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া থেকে বঞ্চিত করতেন। আর বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা তো তার কাছে কোন পাত্তাই পেতনা। জুলাই বিপ্লবের পরে ফ্যাসিবাদী শিক্ষক নেতাদের ও তৎকালীন তাকে যারা উপঢৌকন দিত তাদের বাঁচানোর মিশন নিয়ে মাঠে নামেন। এখনো তিনি রাতের আঁধারে তৎকালীন ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষক নেতাদের সাথে ও ফ্যাসিবাদী দলীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। তিনি সাধারণ শিক্ষকের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেন। কোন শিক্ষক তার এই আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। তার রূঢ় আচরণ হতে কোন নারী শিক্ষকও রেহাই পান না। জুলাই বিপ্লবের সাথে জড়িত সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথেও তিনি বর্তমানে খারাপ আচরণ করে যাচ্ছেন। তার প্রতি সাধারণ শিক্ষক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের ব্যাপক ক্ষোভ বিদ্যমান রয়েছে। মোঃখোরশেদ আলম প্রধান শিক্ষক খোদেজাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন মমিন প্রধান শিক্ষক শিবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোঃ নাসির উদ্দিন প্রধান শিক্ষক মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রধান শিক্ষক বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোঃ বাহারুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক কাঁটাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন প্রধান শিক্ষক শশীভূষণ হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বিল্লাল প্রধান শিক্ষকঢালচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্মানিত প্রধান শিক্ষকগণ জানান যে এই শিক্ষা অফিসার একজন ফ্যাসিবাদের সক্রিয় দোসর। তিনি আওয়ামী লীগ আমলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বরাদ্দ থেকে পার্সেন্টেজ টাকা তুলে নিজে নিতেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান কে দিতেন। বদলির সময় তিনি বিভিন্ন শিক্ষকের কাছ থেকে তার চাহিদা মতো বিদ্যালয় বদলি করবেন বলে ঘুষ গ্রহণ করতেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করত কিছু দালাল প্রকৃতির আওয়ামী পন্থী শিক্ষক। এইসব ফ্যাসিবাদী দোসর শিক্ষক নেতারা এখনো রাতের আঁধারে অফিসের অবসর সময় যখন কেউ অফিসে থাকেন না শুধু শিক্ষা অফিসার একা থাকেন তখন তার সাথে বসে বৈঠক করেন। কিভাবে জুলাই বিপ্লবের সাথে জড়িত সকল দলের মতাদর্শ শিক্ষকদের হয়রানি করা যায়। তাই চরফ্যাশন উপজেলার সকল সাধারণ শিক্ষকদের দাবি এই ফ্যাসিবাদী দোসর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে দ্রুত অপসারণ করা হোক। ফ্যাসিবাদী দোসর এ সকল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জুলাই বিপ্লবের চেতনা ভুলন্ঠিত হবে।