নিউজ ডেস্ক :: হঠাৎ রণক্ষেত্র সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউন। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২ হাজার অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে। গত রোববার একদল বিদ্রোহী সেনা শহরজুড়ে চালায় দিনভর তাণ্ডব। হামলা চালানো হয় সেনা ছাউনি ও কেন্দ্রীয় কারাগারে। চলে সরকারি অস্ত্র লুটের চেষ্টা। ভয়াবহ এই সহিংসতার সাক্ষী হয়ে এখনও বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বুলেট। সোমবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলা প্রতিহতের দাবি দেশটির সরকারের। তবে কারাগারে বিশৃঙ্খলার এই সুযোগে পালিয়ে গেছে অন্তত দুই হাজার বন্দি। অল্প কিছু ফিরে এলেও বেশিরভাগ বন্দীই এখনও আটক হয়নি। রাজধানীজুড়ে তাই বিরাজ করছে আতঙ্ক। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আবারও সিয়েরা লিওনে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এরইমধ্যে, বিদ্রোহের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগকেই আটকের দাবি করেছে প্রশাসন। বাকিদের ধরতে চলছে জোরালো অভিযান। ঘোষণা দেয়া হয়েছে পুরষ্কারের।
গত জুনে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাডা বায়ো। ভোট কারচুপির অভিযোগে ফল বর্জন করে বিরোধী দল। এরপর থেকেই চলছে অস্থিরতা। সেনাবাহিনীর একাংশের মধ্যেও দেখা দেয় অসন্তোষ। সরকারের অভিযোগ, তারাই ঘটিয়েছে এই সহিংসতা।
এর আগে, ১৯৯১ সালে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছিলো সিয়েরা লিওন। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সেই সংঘাতে প্রাণ হারায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় আরও ২০ লাখ নাগরিক। ধ্বংস হয়ে যায় দেশটির বেশিরভাগ অবকাঠামো।