নিজস্ব প্রতিবেদক :: চলো যাই যুদ্ধে শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে এই স্লোগান বাস্তবায়নে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় প্রচার প্রচারণা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও নিরাপদ সড়ক চাই ( নিসচা) বরিশাল জেলা কমিটি।
শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল সদর হাসপাতাল এলাকা সরকার ঘোষিত নিরব এলাকা। নিরব এলাকায় শব্দ দূষণ বন্ধ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে র্যালী, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা মাধ্যমে শব্দ দূষণ সৃষ্টির অপরাধ ও শাস্তির বিষয়গুলো জনসাধারণের মাঝে প্রচার প্রচারণা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজন ও নিসচা বরিশাল জেলা কমিটির সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান।
নিসচার সদস্য জুবায়ের ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নিসচার সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: কামাল মেহেদী, পরিদর্শক মো: তারেক আজিজ, অফিস সহকারী মো: তাজুল ইসলাম, মো: সাইমুন হোসেন,নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো: ইউনুস খান, রুপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কালাম আজাদ, বিআরটিসি প্রতিনিধি মো: মশিউর রহমান, নিসচার আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. গোলাম মর্তুজা তপু, দূর্ঘটনা বিষয়ক সম্পাদক এসএম রুবেল মাহমুদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: গোলাম কিবরিয়া অপু, সদস্য মো: ইমরান হাসান মাইনুল, মো: রুবেল হাওলাদার হিমেল, মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
প্রচার প্রচারণা মূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৬ অনুসারে শব্দ দূষণ সৃষ্টি করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সরকার ২০২০ সালে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল এলাকাকে নিরব এলাকা ঘোষণা করেছে। কিন্তু নিরব এলাকায় হর্ণ বাজানোসহ শব্দ সৃষ্টি করা যে একটা দণ্ডনীয় অপরাধ এটা অনেকেই জানে না বা মানে না।
শব্দ নিয়ন্ত্রণে আমরা জনসচেতনতা মূলক র্যালী, লিফলেট বিতরণ ও পথসভার আয়োজন করেছি। আগামীতে এই শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে শেবাচিম এলাকায় আমরা মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করবো।
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান বলেন, সড়কে চলাচল ও মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। সবাই যদি সড়ক আইন মেনে চলি তাহলে সড়কে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হবে।