নিউজ ডেস্ক :: জনগণের আস্থা ধরে রাখতে আমাদের নিজেদেরও পরিবর্তন করতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশের শুভ পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো জাদু নয় যে বললেই হয়ে যাবে, বরং জনগণের আস্থা ধরে রাখতে আমাদের নিজেদেরও পরিবর্তন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ৩১ দফার মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষের শুভ পরিবর্তন ঘটাতে চাই, যেটি মানুষ প্রত্যাশা করে। আমাদের ভাবনায় শুধুই জনগণ, জনগণ ও জনগণ। শুধু তাই নয়, এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সব জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ নেবো।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) জোহান ড্রিম ভ্যালি মিলনায়তনে ঝিনাইদহ, যশোর ও নড়াইল জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের ১৬ বছরের শাসনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা খুন, গুম, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, জনগণের একটি বিশাল অংশ বিশ্বাস করে, আগামীতে ভালো কিছু হলে সেটি বিএনপির হাত ধরেই হবে।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বদলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সব জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে, এবং তাদের স্মরণে সরকারি স্থাপনার নামকরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানো, দুর্নীতি দমন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেকার ভাতা চালু ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি। জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপিকে দমন করা যাবে না, কারণ এটি জনগণের দল।’
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দল। তাই বিএনপির দায়িত্ব অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশি। তিনি আহ্বান জানান, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে কেউ মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল, কেউ সরাসরি যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, কিন্তু বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করেছে’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, মোরশেদ হাসান খান, মীর মো. হেলাল উদ্দিন, ফারজানা শারমিন পুতুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, দপ্তরের মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল।