নিউজ ডেস্ক :: আগামী রোববারের (২৬ নভেম্বর) মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ২৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস এসেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে চলেছে, যার নাম মিগজাউম। এর কবলে প্রভাবিত হতে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের উপকূল।
ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ‘আগামী রোববার দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে; যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত। সেই সম্ভাব্য নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে সোমবার (২৭ নভেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।’
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা- সে বিষয়ে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
তবে মডেল অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরুতে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। যদি শেষ পর্যন্ত ওই সম্ভাব্য নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে সেটির নাম হবে মিগজাউম।
বঙ্গোসাগরে চলতি বছর এ সাইক্লোনের জন্ম হলে সেটির নাম হবে মিচাহং, তবে উচ্চারণ করতে হবে মিগজাউম। মিয়ানমার এই নাম প্রস্তাব করেছে। তবে স্থানভেদে ঘূর্ণিঝড়ের এ নাম পরিবর্তন হতে পারে।’