
নিজস্ব প্রতিবেদক :: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত দলটির নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় ও হেভিওয়েট কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের ঢাকার একটি আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে ঢাকার একটি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-২ ও ৩ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। এই দুই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি বরিশালে। তবে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নানক ঢাকা-১৩ আসনে দলের মনোনয়ন পাননি। সেবার এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাদেক খান।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নামে পাঁচটি আসনের ফরম সংগ্রহ করা হয়। তার নামে ঢাকা-৬, ঢাকা-৮, ঢাকা-১৪ এবং মাদারীপুর-২ ও মাদারীপুর-৩ আসনের ফরম কেনা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা বিভাগের ফরম বিক্রির দায়িত্বে থাকা নেতারা।
ঢাকায় মনোনয়ন পাচ্ছেন নানক ও বাহাউদ্দিন নাছিম
সাকিব যাচ্ছেন মাগুরা, ঢাকায় ঢুকছেন ফেরদৌস
এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম অবশ্য বলছিলেন, তিনি নিজে ২টি আসনের ফরম নিয়েছেন। বাকিগুলো তার নামে তুলেছে অতি উৎসাহীরা।
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। বাছাইয়ে কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন। আপিল ও তা নিষ্পত্তির জন্য ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রাখা হয়েছে। কোনো প্রার্থী ইচ্ছা করলে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ ডিসেম্বর। সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে প্রচারণার জন্য ২২ দিন সময় রাখা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।