
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার বাউফলে উর্মি হত্যার নতুন মোড়। প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে বাবা মা ও ভগ্নীপতি তিনজন মিলে মেয়েকে হত্যা করে পাশের খালে ফেলে দেন। ঊর্মী হত্যার এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে রহস্য উদঘাটন করেছেন পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত ২১ আগষ্ট রাত দেড়টার দিকে নিখোঁজ নাটক করে ঊর্মির পরিবার। দুদিন পরে গ্রামের কুম্ভখালী খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে বাউফল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু পুলিশি নজরে থাকেন মেয়ের মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়াতি ও দুলাভাই কামাল হোসেন। অবশেষে ঘটনার ৭দিন পর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে সন্দেহজনক তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই তিন ব্যক্তি। পরে বুধবার সকালে তাদের ৩ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
একই গ্রামের ফিরোজ নামের জনৈক এক ছেলের সাথে উর্মির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে বাবা মা এবং তার ভগ্নীপতি তিনজন মিলে মেয়েকে অনেক বোঝায়। কিন্তু কোন কথাই সে মানতে রাজি না। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে রাত সাড়ে বারোটার দিকে মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল ও ভগ্নীপতি কামাল মিলে ঊর্মীকে ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে গলাটিপে হত্যা করে উর্মীকে পাশের খালে ফেলে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার আজ (রাত ৮.৩০মিনিটের) সময় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘটনার বিবরণী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে ওই তিনজনই আমাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই তারা দায় স্বীকার করেছেন।