ক্রিয়া ডেস্ক :: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে ১৫৫ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। লক্ষ্য তাড়ায় তামিম ইকবাল ও কাইল মায়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ বল হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় বরিশাল। ফলে, বিপিএল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে হারলো কুমিল্লা।
শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। কাইল মেয়ার্সের তৃতীয় বলে জীবন পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি সুনীল নারিন। একই ওভারের পঞ্চম বলে ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে থাকা ম্যাকয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন নারিন। তিনে নেমে ভালো শুরু করেন তাওহিদ হৃদয়। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার।
খানিকটা পরিকল্পনার ফাঁদে ফেলেই হৃদয়ের উইকেট তুলে নেন পেসার ফুলার। লেগ সাইডে বেশি শট খেলা হৃদয়কে প্রথম দুটি বলই করেছেন অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে ওয়াইড লাইনে। ফুলারের দ্বিতীয় বলটি ওয়াইড হয়েছিল। তৃতীয় ডেলিভারিও ছিল একই লাইনে। ওয়াইডে লাইনের বলে খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে থাকা মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন হৃদয়। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার আউট হন ১৫ বলে ১৫ রান।
এমন সময় দলকে টেনে নেয়ার দায়িত্ব ছিল লিটনের কাঁধে। তবে সেটা পারেননি কুমিল্লার অধিনায়ক। ফুলারের আগের বলে স্কয়ার লেগে ফ্লিক করে চার মারেন লিটন। পরের বলটা ফুলার করেন শর্ট লেংথে এবং অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে। এমন ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে হৃদয়ের মতো একই জায়গায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন ১৬ রান করা লিটন। তাতে পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তোলে কুমিল্লা।
পুরো টুর্নামেন্টে জ্বলে উঠতে না পারা জনসন চার্লসের সুযোগ ছিল কুমিল্লাকে টেনে তোলার। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটারকে সেটি করতে দেননি ম্যাকয়। বাঁহাতি এই পেসারের স্লটের ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন। চার্লসের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৫ রান। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মঈন আলীও। মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার।
এরপর অঙ্কন এবং জাকের মিলে কুমিল্লাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা দু’জনে। ধীরগতির ইনিংস খেলে ১৭তম ওভারে আউট হন অঙ্কন। সাউফউদ্দিনের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৩৫ বলে ৩৮ রান করা এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত আন্দ্রে রাসেল ও জাকেরের ব্যাটে ১৫৪ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। রাসেল ২৭ এবং জাকের ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন। বরিশালের হয়ে দুটি উইকেট নেন ফুলার।