নিজস্ব প্রতিবেদক :: কাজিরহাটে আ’লীগ নেতা সহ পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে পিটিয়ে রগ কর্তন!
বরিশাল কাজিরহাট থানাধীন এলাকায় মসজিদের হিসাব-নিকাশ চাওয়াকে কেন্দ্র করে থানা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলামসহ সহ তার পরিবারের ছেলে, জামাই ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে কুপিয়ে পিটিয়ে রগ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৯ মার্চ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কাদিরাবাদ গ্রামের আলী খার হাট বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যান্যরা হলো , সিরাজুল ইসলামের ১৪ বছরের স্কুল ছাত্র জিসান, অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে জান্নাত ও মেয়ে জামাই নয়ন সরদার।
এদের মধ্যে গুরুতর জিসানকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যান্যরা মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত অন্তঃসত্ত্বা জান্নাত জানান, আমার বাবা সিরাজুল ইসলাম বেপারী আলী খাঁ বাজার জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন, বর্তমানে সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে আমার বাবার শত্রু গিয়াসউদ্দিন মিয়ার ছেলে মোতাসেল মিয়া, বজলু, রাকিব, এবং তাদের চাচা বাহাউদ্দিন মিয়া সহ একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে আমার বাবার কাছে মসজিদের হিসাব-নিকাশ চায়।
তখন আমার বাবা হিসাব-নিকাশের বিষয়টি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন এবং বলেন আমি হিসাব-নিকাশ দেব মসজিদ কমিটির কাছে। তোদের কাছে কিসের হিসাব দেবো।
এ নিয়ে এক পর্যায় আমার বাবার সাথে মোতাসেল সহ অন্যান্যদের দ্বন্দ্ব হয়।
এরই জের ধরে একপর্যায়ে, আমার বাবাকে গাবের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমরা জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে আসলে আমাকে ও এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এরই মাঝে আমার ছোট ভাই জিসান প্রাইভেট পড়ে বাসায় আসার পথে জিসান একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান হাতের কবজিতে কুপিয়ে রগ কর্তন করে দেয়।
কাজিরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার সত্যতা পায় এবং আমাদেরকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এ বিষয় কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি, মামলা প্রক্রিয়াধীন।