নিজস্ব প্রতিবেদক :: ‘ভারতীয় আগ্রাসন ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও, দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ এমন শ্লোগানে গতকাল মঙ্গলবার মুখরিত ছিলো বরিশাল মহানগরীর অলিগলি। প্রতিটি মিছিলের গন্তব্য সদর রোড অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে। বেলা এগারোটা থেকে টাউনহলের সামনে জড়ো হয় মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলীয় কার্যালয়ের সামনে তখন মিছিলে-শ্লোগানে বিপ্লবী চেতনার বিস্ফোরণ। এরই মধ্যে সড়কে এসে দাঁড়িয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী, মাদ্রাসাছাত্ররা। মিছিলে যুক্ত হয়েছে প্রতিবন্ধী রানাও। তাকে কিছু টাকা সাহায্য দিতে গেলে সে টাকা না নিয়ে বললো ‘মাথা গরম’। ভারতের দাঁত ভাঙতে হবে। আন্দোলন করে সব ভারতীয়দের তাড়াতে হবে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর বিএনপি। নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এবং সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার।
এসময় মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমাদের আজকের এই প্রতিবাদ মিছিল। এই প্রতিবাদ শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের আপামর সাধারণ মানুষ ও ছাত্র জনতার প্রতিবাদ।
জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা করলো তারা, মসজিদ ভাংচুর করলো তারা। আবার আগরতলায় উপহাইকমিশনে হামলা চালিয়ে একটি দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত করলো তারা। আবার তারাই আমাদের দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠাতে চায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের এই বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পরে একই স্থান থেকে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সারাদেশের ধারাবাহিকতায় বরিশালের জেলা উপজেলা ও গ্রামে এই ৬ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর সমন্বয়ক শাকিল মৃধা। বরিশালের আদালত প্রাঙ্গণে তিনি ৬ দফা তুলে ধরেন। এগুলো হলো -ভারতের সাথে করা সকল চুক্তি উম্মোচন করতে হবে। অসম ও পরিবেশ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। গত ১৫ বছরে সকল সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও ভূমি দখলের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।