নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে সৎ ভাইয়ের ত্রাস! আহত মা- ছেলে হাসপাতালে ভর্তি।
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় মা ও ছেলেকে হত্যার চেষ্টা পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সৎ ভাই ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার মহেশকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় রনজিত মিস্ত্রি ও তার মা উর্মিলা রানীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রনজিত মিস্ত্রি ওই এলাকার মৃত রমনী মিস্ত্রির ছেলে।
আহত রনজিৎ জানান, দীর্ঘদিন ধরে রনজিৎ মিস্ত্রির পৈত্রিক ওয়ারিস জমি নিয়ে সৎ ভাই তপন মিস্ত্রি ও তার পরিবারদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
সৎ ভাই তপন জোরপূর্বক ভাবে রনজিৎ মিস্ত্রির জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়।
বিষয়টি নিয়ে রনজিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সব প্রশাসককে জানালে তপন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এমনকি রনজিত কে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ খুন জখমেরও হুমকি দেয়।
বিষয়টি নিয়ে রনজিত বিজ্ঞ আদালতে এম আর ৩৮/২০১৯ মামলা দায়ের করেন। মামলার রায় পেয়ে রনজিত জমি বিক্রি করিলে প্রতিপক্ষ সৎ ভাই তপন সহ তাদের সহযোগীরা রনজিতের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। চাদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে তফন মিস্ত্রি ও তার সহযোগী সেলিম হাওলাদার, সংকর মিস্ত্রি, আশীষ মিস্ত্রি, আব্দুল হাই, মোশারেফ হাওলাদার,সহ অজ্ঞাতনামা আরও নয় ১০ জন সহযোগী রনজিত মিস্ত্রিকে হত্যার চেষ্টা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় রনজিতের মা উর্মিলা বেগম ও ভাই সতীশ মিস্ত্রি আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন তফন মিস্ত্রি সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। সেখানে রনজিৎ মিস্ত্রি ও তার মা উর্মিলা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল মেডিকেলে রেফার করে।
এদিকে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে প্রতিপক্ষ তপন মিস্ত্রি নাটকীয় কায়দা ইনজুরি দেখিয়ে আমুয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়।
রনজিত আরো জানান, প্রতিপক্ষ তপন মিস্ত্রির নিষেধাজ্ঞা জমিতে নিজে ই সীমানা দেয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।