ঢাকাশুক্রবার , ৭ মার্চ ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে বসন্তের মাঝে শীতের আমেজ : তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রী নিচে

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মার্চ ৭, ২০২৫ ১১:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ফাল্গুনের শেষে মাঝ বসন্তে এসে শীতের আবহাওয়া বিরাজ করছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের অনেক নীচে। মার্চে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ২০ ডিগ্রীর স্থলে শুক্রবার সকালে তা প্রায় ৫ ডিগ্রী নীচে ১৫.২ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার শেষ রাতে বয়ষ্কদের বেশীরভাগই কাঁথায় শীত সামাল দিতে পারেননি । এমনকি দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের নীচে নেমে যাচ্ছে। মার্চে স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.২ ডিগ্রীর স্থলে শুক্রবার ৩০.১ ডিগ্রীতেই আটকে ছিল।

 

বিগত বর্ষা থেকেই বরিশাল সহ সন্নিহিত এলাকায় আবাহওয়ার নানা বৈপরিত্য লক্ষ্যণীয় ছিল। বর্ষায় বৃষ্টির আকাল শরৎ পেরিয়ে হেমন্তের মধ্যভাগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকার পরে গত অক্টোবরে ভারতের অন্ধ্র উপকূলে আঘাতহানা ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ব্যাপক বর্ষণ উঠতি আমন সহ আগাম রবি ফসলের ক্ষতি করে। অথচ মূল বর্ষা মৌসুমজুড়েই বরিশাল সহ সন্নিহিত এলাকায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতির পরে হেমন্তের অকাল প্রবল বর্ষণে ফসলের যথেষ্ট ক্ষতির পরে নভেম্বরে আবার বৃষ্টিপাতের পরিমান স্বাভাবিকের নীচে নেমে আসে। এমনকি ডিসেম্বরেও বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল স্বাভাবিকের ৭০% কম। জানুয়রীতেও পরিস্থিতি প্রায় একই থাকার পরে সদ্য বিদায়ী ফেব্রয়ারীতে বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল স্বাভাবিকের ৯৫% কম। এমনকি আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে চলতি মার্চেও বরিশাল সহ সারাদেশেই স্বাভাবিকের কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ফলে মাঠে থাকা বোরো সহ বিভিন্ন রবি ফসলের বৃদ্ধি সহ উৎপাদন নিয়ে শংকা বাড়ছে। চলতি রবি মৌসুমে বরিশাল অঞ্চলে ১৮ লক্ষাধীক টন বোরো চাল ঘরে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ৪ লাখ হেক্টরে আবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের অভাবে বাড়তি সেচের কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবার আশংকা করছেন কৃষকরা।
আর এ অবস্থাতেই তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্যও অব্যাহত রয়েছে। জলবায়ুর এ পরিবর্তন কৃষির সাথে জনস্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। গত দু’মাসে নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বরিশালে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতেই ভর্তিকৃত সাড়ে ৩ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গত জানুয়ারী থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো প্রায় ১১ হাজার।