
নিজস্ব প্রতিবেদক :: রোকনুজ্জামান টিপুর জামিন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রথম বিজয় : বিএমএসএফ
সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুর জামিন এটি গোটা দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রথম বিজয়। সামনে আরেকটি বিজয় অপেক্ষা করছে। তবে সেটি অনেক চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। তিনি বলেন টিপুর জামিন নিয়ে সাতক্ষীরায় অনেক নাটক হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী তার পরিবার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে দ্বিধা বিভক্ত করে রাখা রাখায় দন্ডাদেশ দেবার পর তিন দিনেও পরিবার কিংবা কারো থেকে জামিন কিংবা আপিল কোনটাই চাওয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারি এ চক্রটি তালা উপজেলায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের মানববন্ধনের ব্যানার এবং উপস্থিত সদস্য সাংবাদিকদের কৌশলে মানববন্ধন থেকে সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি টিপুর স্ত্রী উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত থাকায় তিনি মামলার জামিন কিংবা আপিল করতে না পারেন এজন্যও তাকে চাপে রাখা হয়েছিলো।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২৩ এপ্রিল ঢাকায় তথ্য কমিশনের সাথে বৈঠকের পর দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক টিপুর নিঃশর্ত মুক্তির জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। তবে অনেক নাটকীয়তা শেষে ২৪ ঘন্টার মাঝেই সাংবাদিক টিপু জামিন লাভ করে। বিকেলে জামিন লাভের পর রাত দশটার দিকে টিপুকে তালা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
এদিকে তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রের একটি টিম সাতক্ষীরায় পৌঁছেন। জেলা প্রশাসকের অনুপস্থিতিতে টিমের সদস্যরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং আইনজীবীর সাথে বৈঠক করে দুপুর দেড়টার দিকে দিকে সাংবাদিকদের পক্ষে আহমেদ আবু জাফর জামিন এবং আপিল আবেদনে স্বাক্ষর করেন।
বিএমএসএফের পক্ষে থেকে বলা হয়, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাসেলের দেয়া কারাদন্ডদেশ ছিল অন্যায়, অবৈধ এবং কথিত আদালতের নামে সাংবাদিকদের সাথে একটি চূড়ান্ত প্রহসন। যা সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ২৩ তারিখে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে রাষ্ট্র যন্ত্রের দ্বারা এহেন পরিস্থিতির শিকার কখনো হতে পারেন না। অন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতি যখন আগ্রাসনে পরিণত হয় পরিস্থিতি তখন এমনটাই হয়ে থাকে।
সারাদেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধতার ফসল হিসেবে বৃহস্পতিবার রোকনুজ্জামান টিপুর জামিনে মুক্ত করতে পারাটা সাংবাদিকদের প্রথম বিজয়। এটি একক কারো বিজয় নয়। চুড়ান্ত বিজয় তখনই আসবে যখন টিপুর উপর বিচারের নাম কথিত আদালত বসিয়ে প্রহসনমূলক দন্ডাদেশ বাতিল করানো যাবে। তবে এই কাজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। টিপুর কারাদণ্ড বাতিল করতে পারা কাজটা জরুরী এবং চ্যালেঞ্জিং। এজন্য গোটা দেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম।
যারা সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি আদায়ের আন্দোলনে বিভিন্নভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, মাঠে ছিলেন তাদের সকলের প্রতি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা সংগ্রামী অভিবাদন জানানো হয়েছে (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)।