ঢাকারবিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইজারা মূল্যে বৃ*দ্ধি*র প্রতি*বাদে বরিশাল মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
এপ্রিল ২৭, ২০২৫ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ইজারা মূল্যে বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশাল মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন।

গত বছরের তুলনায় চলমান বছরে বরিশাল পোর্ট রোডের ঘাটটির সর্ব নিম্ন ইজারা প্রায় দ্বিগুণ করার পাশাপাশি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকারি রেট সিট না মেনে টন ও মণ প্রতি অবৈধভাবে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ এনে রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দুইটায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন “শহীদ জিয়া পাইকারি মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র” এর নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন “শহীদ জিয়া পাইকারি মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র” এর সাধারণ সম্পাদক মো. জহির সিকদার।

তিনি বলেন, এ মৎস্য মার্কেটটি ইজারা দেয়া হয় পদ্মাবতী ঘাট নামে। প্রতি বছর ঘাটটির ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালে ঘাটটি ইজারার সর্ব নিম্ন দর ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা ১ কোটি ৭৫ টাকায় ঘাটটি পায় একটি প্রতিষ্ঠান। তখন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মণ প্রতি ইলিশ ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অথচ দরপত্রের সাথে দেয়া রেট সিটে উল্লেখ থাকে টন প্রতি ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। তাতে মণ প্রতি হয় প্রায় দেড় টাকা। সেখানে ব্যবসায়ীরা ওই আলোচনা না করে মণ প্রতি নিয়ে যাচ্ছে ১০০ টাকা। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

কিন্তু ২০২৫ সালে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে ঘাটটি ইজারার সর্ব নিম্ন দর দেয় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগামীকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ঘাটটি ইজারায় বেঁধে দেয়া নির্ধারিত ওই টাকা সর্ব নিম্ন দর রাখায় ফুঁসে উঠেছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

কারণ- বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা না করে এমন কাজটি করেছে। এখন আবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মনগড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘাটটি ইজারার সর্ব নিম্ন দর দিয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে প্রায় দ্বিগুণ।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এমন কাজ করলে এই ঘাটে টোল বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে কম আসতে শুরু করবে। এর ফলে মাছের সংকট হওয়ার পাশাপাশি মাছের দাম অনেক বেড়ে যাবে। যার প্রভাব জনগণের উপরে পড়বে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে মাছের দাম। কেননা- ব্যবসায়ীরা কেউ নিজের লস চাইবে না। অন্যদিকে, টোল বেশি হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এই ঘাটে মাছ না এনে অন্য ঘাটে নিতে শুরু করবে। তখন সকল মৎস্য ব্যবসায়ী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

 

তাই আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের এমন সিন্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ২০২৫ সালে মনগড়া নতুন মনগড়া নিয়ম বন্ধের দাবি জানাই এবং সরকারি নির্ধারিত রেট সিট অনুযায়ী ইজারা দিবো।

এ বিষয়ে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ করে প্রধান কার্যালয়। যাতে বরিশালের কেউর হাত নেই। আর ইজারাদারের প্রতিযোগিতার কারণে মূল্য বাড়ে।