
নিউজ ডেস্ক :: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আমেরিকা প্রবাসী মোঃ কবির হাসান মৃধার ভবনে হামলা, সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, ২টি মোটরসাইকেল লুটসহ ৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটানায় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় হামলা ও অস্ত্রের মহড়ায় এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত রিফাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য- ১৭ জুলাই উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড ৯ নং দক্ষিণ মোড়াকাঠি গ্রামের ফারুক হোসেন বয়াতীর ছেলে সবুজ বয়াতী (৩৫), মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ সুজন হাওলাদার (৪০), নাজেম হাওলাদারের ছেলে মোঃ জালাল হাওলাদার(৪০), হস্তিশুন্ড গ্রাম ৯নং ওয়ার্ডের মৃত রশিদ বয়াতীর ছেলে মোঃ জাকির বয়াতী(২৮), মোঃ সজল বয়াতী(২৩), লাল মিয়া বয়াতীর ছেলে মোঃ রাসেল বয়াতী(৩০), মৃত হাবিব বয়াতীর ছেলে মোঃ সুমন বয়াতী(৪৫), মোঃ বাদশা বয়াতীর ছেলে মোঃ হৃদয় বয়াতী(২২),
দক্ষিন মোড়াকাঠী গ্রামের মৃত ফরিদ সরদারের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম সরদার(৩৫), হস্তিশুন্ড গ্রামের মৃত হোসেন আলী বয়াতীর ছেলে মোঃ ইউসুফ বয়াতী(৪৫),রফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাদুল ইসলাম(২২), বাদল বয়াতীর ছেলে মোঃ ইমরান বয়াতী(২৫), মৃত হোসেন আলী বয়াতীর ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন বয়াতী(৬৬), খোলনা গ্রামের রুমন হাওলাদারের ছেলে মোঃ রানা হাওলাদার(৩৫), দক্ষিণ মোড়াকাঠি গ্রামের খোকন হাওলাদারের ছেলে মোঃ বেল্লাল হাওলাদার(২৫), খোলনা গ্রামের মোশাররফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ নজরুল হাওলাদার(৩৫), মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে মোঃ জসিম হাওলাদার(৪০)সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রথমে হস্তিশুন্ড বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে হস্তিশুন্ড ফাজিল মাদ্রাসার সামনে রাস্তার উপরে সিরাজুল ইসলাম, মোঃ মিজান বয়াতী, মোঃ খোকন বয়াতীর উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়।
পরে রাত ৮ টার দিকে চাঁদার দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কবির হাসান মৃধার ভবনে হামলা ও ভাংচুর করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত হন সিরাজুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, মিজানুর রহমান, সাদিয়া, মোসাঃ নিপা আক্তার, ফেরদৌস খলিফা, বাচ্চু মৃধা, আবুল হোসেন মৃধা।
পরবর্তীতে ডাক-চিৎকার করলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে বীরদর্পে চলে যায় হামলাকারীরা। স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে বাচ্চু মৃধা ও আবুল হোসেন মৃধা এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
এ হামলার ঘটনায় মোঃ মোজাম্মেল হক বয়াতী বাদী হয়ে উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক জানান- আমাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়।
আমেরিকা প্রবাসী মোঃ কবির হাসান মৃধা জানান- দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা। এমনকি আমার ভবনে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে চাঁদাবাজ হামলাকারী সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের হুমকির মুখে কয়েকটি পরিবারের লোকজন ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
তিনি আরো বলেন- এছাড়া ওই সন্ত্রাসীরা হামলা ও লুটপাট চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকির মুখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এককথায় তারা এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি।
এদিকে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও অস্ত্রের মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া প্রবাসীর ভবনে হামলা, লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্তরা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান- হামলার ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে হামলাকারী চাঁদাবাজদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন প্রবাসীর পরিবার।