
নিউজ ডেস্ক :: টাঙ্গাইলে জিনের ভয় দেখিয়ে ও বাথরুমে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যেই মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী লম্পট শিক্ষকদের লালসার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবার ও এলাকাবাসী। দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি তাদের।
টাঙ্গাইল পৌর শহরের বৈল্লা বাজার এলাকায় হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার বাথরুমে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ এবং জিনের ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন আগে ওই মাদ্রাসায় টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসাশিক্ষক তার রুমে ডেকে নেন।
পরে মোবাইল ক্যামেরা চালু করে বাথরুমে গিয়ে উলঙ্গ হয়ে টাকা চুরির স্বীকারোক্তি দিতে বলেন। ভুক্তভোগী ওই শিশু তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে মারপিট করেন এবং জিনের ভয় দেখিয়ে ভিডিও ধারণ করতে বাধ্য করেন। ভিডিও ধারণ শেষে ওই শিক্ষক তার অফিস রুমে নিয়ে বোরকা খুলতে বলেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে ধারণকৃত গোপন ভিডিও ভাইরাল করে দেয়াসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে অফিস রুমে গেলে গামছা দিয়ে চোখ বেধে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী শিশুটি বলে, মাদ্রাসার ওই শিক্ষক তার সঙ্গেই এমন খারাপ আচরণ করেছেন তা নয়। আরও অনেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ করে আসছেন। এঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি নির্যাতিতা শিশুর।
এ ঘটনাটি জানাজানি হলে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষক মাহামুদুল্লাকে বৈল্লাবাজারে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। আরেক লম্পট শিক্ষক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি চেয়ে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘ইসলামিক শিক্ষার জন্য সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষক তার শিশু মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন ও গোপন ভিডিও ধারণ করার পর থেকে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।’ এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তানভীর আহমেদ বলেন, এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।