
স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন শিকদার ওরফে লিটু (৩২) কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মো. জাকির হোসেন গাজী (৪০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল তিন টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. জাকির হোসেন গাজী হলেন দায়েরকৃত মামলার বাদি মোসাঃ মুন্নির স্বামী এবং নিহত লিটুর বোন।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিল্ববাড়ি এলাকায় পুলিশের কাছ থেকে লিটুকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার পাশাপাশি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরদিন ১ আগস্ট বরিশালের এয়ারপোর্ট থানায় নিহত লিটুর বোন মোসাঃ মুন্নি (৩৫) নামধারী ৬১ জন ও অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যা মামলায় মামলায় এখনও পলাতক আসামিরা হলেন- মো. রাজীব গাজী (২৫), মো. রাসেল হাওলাদার (২৬), মো. কামাল সিকদার (৪৫), মো. কামাল (৩০), মো. জামাল (৪০), নয়ন গাজী (৩৫), মো. ছানি (১৯), আলো গাজী (৫৫), মোসা. জিনিয়া আক্তার (১৯), মোসা. হাবিবা আক্তার তিনা (১৫), মোসা. শাহিনুর (৪৫), মো. কালু হাওলাদার (৪০), নিলুফা আক্তার নীলা (৪৫), মোসা. মেখলা (২৪), মোসা. পারভীন (৪০), মো. আইয়ুব (৫০), মো. সোবাহান (১৯), মো. মোকছেদ গাজী (৭০), কাওছার ওরফে ডিপজল (২৮), মো. আনিচ (৪০), মো. সুমন (২৫), সীমা বেগম (৩০), মো. আবুল হাজারী (২৮), মো. বাবুল হাজারী (৩০),মোসা. নুর বানু (৫৫), মো. মুন্না হাওলাদার (২০), স্বপন (৩২), শামীম গাজী (৪০), পারভেজ (২৮), মো. রেজভী ফকির (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৪৮), মো. সোহরাব (৪০), মো. মিজান (২২), মো. জাহিদ (২৫), মো. অনিক (২২), মো. রেশাদ (২৫), মো. পলাশ (৪০), মোসা. রিমা (৪৫), মো. সোহাগ (৩৮), মো. মিরাজ মোল্লা (২৫), হাসিব (২২), মো. সোহেল গাজী (৪০), সায়েম (১৯), মোসা. শাহানাজ (৩২), মোসঃ তাছলিমা বেগম (৬০), মো. শুক্কুর (২২), মো. হাবিব (২২), মো. মাসুম (৪২), মো. শহিদ (২৮), মো. সুজন (২৮), মো. মনির খান (৩৫) ও পলি খাতুন (৩০) ।
আর জেলহাজতে রয়েছেন- আসামি মো. মিলন গাজী, জলিল হাজারী, মোসাঃ ইয়াসমিন আক্তার ইলা, কামাল হাওলাদার, আরিয়ান ইসলাম সোহাগ ও রাজু হাওলাদার, রাতুল মোল্লা ও মো. রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক ধরে নিহত লিটুর বোন মুন্নি ও তার স্বামী জাকির হোসেন গাজীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরের মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার ধরে দ্বন্দ্বের সূত্রপাতের মধ্যে লিটু পরিকল্পিত হামলায় নিহত হন। মামলায় বাদি উল্লেখ করেন- হামলার সময় লিটুর হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় ৫নং আসামি মিল্টন। তারপর অন্যান্য আসামিরা হামলা চালিয়ে বাদি সহ তার ভাই-বোনদের পিটিয়ে কুপিয়ে আহত-নিহত করে।
এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো: রিয়াজ খান মিল্টন (৫ নং আসামি) কে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে।