ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের স্থান পেতে আবেদন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ২৬, ২০২৫ ১০:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করার জন্য স্থান পাওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেছে বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি। মালিক সমিতি হাসপাতাল এলাকায় নিজেদের অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য একটি নির্ধারিত স্থানের দাবি জানিয়েছে, কারণ বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সগুলো হাসপাতালে এলাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

সোমবার (২৫ আগষ্ট) লিখিত আবেদনটি জমা দেয়া হয়েছে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- বরিশাল এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবসায়ীগণ বিগত ১৮/২০ বছর যাবৎ শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুনামের সাথে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সেবা প্রদান করে আসছি। পরিচালক মহোদয় জরুরী বিভাগের গেটের দক্ষিণ পাশে মাঠে তাদের এ্যাম্বুলেন্স গাড়ী শৃঙ্খলভাবে রাখার জন্য নির্ধারিত স্থান দিয়েছিলেন। গত ১৮ আগষ্ট পরিচালক মহোদয় তাদের ডেকে এ্যাম্বুলেন্স গাড়ী নির্ধারিত পার্কিং থেকে বের করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ প্রদান করেন। তারা পরিচালকের কথায় সম্মান দেখিয়ে এ্যাম্বুলেন্স গাড়ী বের করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে গত ২১ আগষ্ট পরিচালক মহোদয়ের সাথে দেখা করার জন্য তাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ডাকেন এবং বলেন যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্ধারিত পার্কিং এ কোন এ্যাম্বুলেন্স গাড়ী রাখা যাবে না।

উল্লেখ্য- কিছু দিন পূর্বে পরিচালক মহোদয় তাদের এ্যাম্বুলেন্স গাড়ী রাখার জন্য পার্কিংয়ের জায়গা দেন। তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পার্কিংয়ের জায়গা ভরাট করার জন্য প্রায় ৬/৭ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। এ্যাম্বুলেন্স চালকরা সেবামূলক এবং অসহায় গরীব মানুষের বিপদকালে পাশে দাড়ান। যেমন- ঝালকাঠী লঞ্চে আগুন লাগার সময় খবর পেয়ে তারা বরিশাল থেকে ৫০ খানা এ্যাম্বুলেন্স গাড়ী ঝালকাঠী পাঠান এবং তার কোন খরচ নেওয়া হয় নি (ফ্রি সেবা দেই)। সেই রোগী পুলিশ সুপারের মৌখিক নির্দেশে শুধুমাত্র তৈল খরচ নিয়ে ঢাকা বার্ণ ইউনিটে পাঠান। এছাড়া ত্রিশ গোডাউনের তৈলের ট্যাংকারে আগুন লাগায় ৮/১০ টি গাড়ী পাঠিয়ে সেবা প্রদান করেন ও করোনাকালিন সময় তাদের এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সকল রোগীদের ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করা হয়। সেবা প্রদান করার সময় বেশ কিছু ড্রাইভার করোনায় আক্রান্ত হয়। এতে তারা সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগীতা পায়নি।

আরও উল্লেখ করা হয়- সুরভি লঞ্চ দুর্ঘটনা হওয়ায় সেই রোগীদের বিনা টাকায় এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ফ্রি-সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অগনিত গরীব ও অসহায় এবং দুঃস্থ রোগীদের ফ্রি সেবা প্রদান করে আসছে। উল্লেখিত এত সেবা প্রদান করা স্বত্বেও পরিচালক মহোদয় কোন কারণে তাদের এ্যাম্বুলেন্স গাড়ীগুলো শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্ধারিত পার্কিং থেকে বাহির করে দিলেন তা তাদের বোধগম্য নহে। বরিশাল এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১০৮ খানা এ্যাম্বুলেন্স গাড়ী রাখার কোন জায়গা না থাকায় তাদের সেবা প্রদান ব্যহত হচ্ছে। কমপক্ষে ৫০/৬০ গাড়ী মেডিকেলে পার্কিং করে ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করেছেন।